চেয়ারম্যান - বার্তা
প্রিয় শুভানুধ্যায়ী, ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে প্রথমেই আমি শ্রদ্ধা জানাই ৭১’র সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এ মহাক্ষণে আমি আরও স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যিনি আততায়ীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন ৭৫’র ১৫ই আগস্ট।
আমি আরও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি বিজয়ের প্রথম প্রহরে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবিতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণকারী মো. ইমামুল কবির শান্ত’র ১১ জন সহযোদ্ধাকে, যারা মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে রণাঙ্গণে লড়েছিলেন। তাঁরা হলেন- (১) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবুল হোসেন বীর প্রতীক (২) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মোয়াজ্জেম হোসেন (৩) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মনির হোসেন (৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ তসলিম উদ্দিন (রতন) (৫) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সফিকুর রহমান (বনি) (৬) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খন্দকার রেজাউল মমিন (রতন) (৭) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শহীদুল্লাহ (খোকন) (৮) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শওকত আলী (কাঞ্চন) (৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মাহবুবুল ইমাম (সুজা) (১০) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল মতিন (আলম) ও (১১) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আমীন।
সকল শহিদের আত্মা শান্তিতে থাকুক এবং এ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জান্নাতবাসী হোন, এটাই আমার ও আমাদের সকলের আজকের প্রত্যাশা।
এই মুহূর্তে আমি বিশেষভাবে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এদেশের কর্মমুখী, সৃজনশীল ও সংস্কৃতি শিক্ষার প¦থিকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্তকে, যিনি ২০২০ সালের ৩০ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করি।
আজকের মহতী এই প্রাক্কালে আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই যে, দেশের স্বাধীনতার জন্যে এবং দেশের বিনির্মাণে জাতির যে শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা আত্মত্যাগ করেছেন, আমরা তাদের ভুলিনি আর তার বড় প্রমাণ আমাদের বিজয়ের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ১১ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন।
শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনে’র প্রতিষ্ঠাতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ও মানবদরদী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত তাঁর কৈশোরের প্রারম্ভেই মানবতাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। আর জীবনের সেই প্রারম্ভিক অধ্যায়েই তিনি সমাজতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বীপ্ত হয়ে ওঠেন। তখনই তার মনে প্রশ্ন জেগেছিল-‘মানুষ কেন গরীব? কী তার সমাধান?’ আর তাঁর সেই তারণ্যেই তিনি বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত হন।
১৯৭১ ছিল বাঙালি জাতির জন্যে মহাজাগরণের এক কাল। ৭১ ছিল বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধ। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ’র ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মো. ইমামুল কবীর শান্ত মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে তার জায়গা করে নেয়। মুক্তি আর বিজয়ের আনন্দ বাঙালি জাতিকে উদ্বেলিত করে তোলে ভবিষ্যৎ বাঙালি জাতির বিনির্মাণের স্বপ্নে। মুক্তি আর স্বাধীনতার পাশাপাশি শোষণ ও বঞ্চনাহীন সমাজের প্রতিষ্ঠা এবং একই সাথে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আস্বাদ নেয়ার জন্য তীব্র আকাক্সক্ষা নিয়ে অপেক্ষায় নিপতিত হয় বাঙালি জাতি। আর ঠিক এরই মধ্যে ঘটে যায় এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। ১৭ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রথম প্রহরে যখন শত শত মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ী বেশে ঢাকায় ফিরছিলেন, তখন বুড়িগঙ্গায় এক নৌকাডুবিতে মো. ইমামুল কবীর শান্ত’র ১১ জন সহযোদ্ধা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। মৃত্যু পরবর্তী সময় আজিমপুর কবরস্থানে যথাযোগ্য মর্যাদায় তার সহযোদ্ধা সকল শহীদদের সমাহিত করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা মোহাম্মদ ইমামুল কবীর শান্ত’র জীবনে নিদারুণ রেখাপাত করেছিল।
প্রতিবাদী এক মানুষ ছিলেন ইমামুল কবীর শান্ত। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মুজিব সপরিবারে নিহত হলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গুটিকয়েক মানুষ যারা প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন, মোহাম্মদ ইমামুল কবীর শান্ত তাদের একজন। শুধু তাই নয়, তৎকালীন সামরিক সরকার সমর্থিত ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সংঘাতেও তিনি জড়িয়ে পরেন। এতে নিহত হন তার কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু। আর ঠিক এ সময় তৎকালীন সামরিক সরকারের চাপ ও হুমকির মুখে তাকে দেশান্তরি হতে হয়।
বিভিন্ন দেশ ঘুরে তিনি জার্মানিতে পৌঁছে জার্মানদের দেখে অভিভূত হন। জার্মানদের কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি গভীর আস্থা মো. ইমামুল কবির শান্ত’কে এক নতুন প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করে। আর ঠিক সে সময় তিনি অনুধাবন করেন যে, সমাজতন্ত্র নয়, কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক এক জাগরণ বাংলাদেশের মানুষকে তাদের স্বাধীনতার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। আর তাঁর এই লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশে ফিরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন’ যা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, সেবাধর্মী ও মানবকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। একই সাথে তার ১১ জন শহীদ সহযোদ্ধা ও সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। এরপর শহীদ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে আজিমপুর নতুন কবরস্থানে নির্মাণ করেন ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ’। শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন সৃষ্টির পরপরই মো. ইমামুল কবীর শান্ত প্রতিষ্ঠা করেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি যা ফ্যাশন ডিজাইন টকনোলজি শিক্ষায় এদেশে এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনো করে চলেছে।
মো. ইমামুল কবীর শান্ত এদেশে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার এক বিপ্লবী অগ্রদূত। তিনি বিশ^াস করতেন এবং অন্তরেও ধারণ করতেন যে শিক্ষিত বেকার তৈরির পরিবর্তে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন এবং দূর-দূরান্তের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষকে উচ্চ শিক্ষা প্রদানের জন্য দূরশিক্ষা/অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই এবং তাঁর অক্লান্ত অধ্যবসায়ের কারণে দূরশিক্ষণ/অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অনুমোদন প্রদান করেন।
স্বপ্নদ্রষ্টা ইমামুল কবীর শান্ত’র কর্মজীবনের অনেক কর্মের মধ্যে মানবকল্যাণমুখী শান্তনিবাস প্রতিষ্ঠা তার জীবনের উল্লেখযোগ্য একটি অবদান। এই প্রতিষ্ঠানে এতিম, অসহায়, দরিদ্র, জেলখানা ও পতিতালয়ের অবহেলিত শিশু-কিশোরদের বিনা খরচে লেখাপড়া, থাকা-খাওয়াসহ এক নিশ্চিত ভবিষ্যৎ বির্নিমাণে মো. ইমামুল কবীর শান্ত প্রতিষ্ঠা করে গেছেন এই শান্তনিবাস। এখানে অসংখ্য অসহায় ও সমাজের অবহেলিত-পরিত্যাক্ত শিশু-কিশোরদের কলকাকলিতে মুখর আজকের শান্তনিবাস।
যুদ্ধজয়ী মো. ইমামুল কবীর শান্ত ১৭ই ডিসেম্বর তাঁর বন্ধুদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা কখনোই ভুলতে পারেননি। আর এই ঘটনা তাঁর জীবনে এনে দেয় আমুল এক পরিবর্তন। এ সময় তার উপলদ্ধি ঘটে যে ‘বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। আর স্বাধীন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা।’ এই উপলদ্ধির পরিণতিতেই তিনি তার শহীদ সহযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করেন ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’, যা আধুনিক স্থাপত্যের অণুকরণে তৈরি। এছাড়া বুয়েট ও মৌচাক এলাকায় তার অপর দু’জন শহীদ সহযোদ্ধার কবরকেও মো. ইমামুল কবীর শান্ত বেদী তৈরি করে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ সকল মহতী উদ্যোগ মো. ইমামুল কবীর শান্ত’র মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাঁর যে অপরিসীম ভালোবাসা তাঁর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিল, তা তারই সাক্ষ্য বহন করে।
প্রতিবছর ১৭ই ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ দিবসটিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে গাম্ভীর্য ও মর্যাদায় পালন করে থাকে। আর এ দিবসটিকে জাতীয় পর্যায়ে পালনের দাবিও উত্থাপিত হয়ে আসছে গত দুই দশক ধরে। এই দিনটিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে কোরআনখানি, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কাঙালিভোজ, আলোচনাসভা, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ছাড়াও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
এ সকল অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ বিগত বছরগুলোতে বার বারই মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতি ইমামুল কবির শান্ত’র ১১ জন সহযোদ্ধা শহীদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন ও তাঁদের পরিবারের পুনর্বাসন’র জন্য দাবি উত্থাপন করে আসছিল। কিন্তু শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের প্রাক্কালে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও এই ১১ জন বীর শহীদদের কোন পর্যায় থেকে কোন প্রকার স্বীকৃতি মিলেনি। এমনকি তাঁদের পরিবারের পুনর্বাসনের জন্যেও যথাযথ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, মো. ইমামুল কবীর শান্ত’র অনেক সহযোদ্ধা এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তালিকাভুক্ত হননি। হয়নি তাদের যথাযথ কোন পুনর্বাসন। এছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা এখনও মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতিও পাননি। শহীদ দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য সকল মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন, যুদ্ধাহত ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সহায়তা প্রদান এবং বিশেষ করে শহীদ পরিবারের প্রতি বিশেষ সহানুভূতি প্রদর্শনের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, মুক্তিযোদ্ধারা যেন তাঁদের জীবদ্দশায় যথাযথ সম্মান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি অর্জন করে ইতিহাসে তাঁদের যথাযোগ্য স্থান করে নিয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও মো. ইমামুল কবীর শান্ত তার জীবদ্দশায় ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র মাধ্যমে অস্বচ্ছল শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের কল্যাণে নিয়মিত আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং প্রতিবছর ১৭ই ডিসেম্বরকে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালনও করেছেন এবং দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন আজও অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য বা কারো অনুদান ছাড়াই মো. ইমামুল কবীর শান্ত তাঁর এই কর্মকা- পরিচালনা করেছেন সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এবং যা আজও আমরা অব্যাহত রেখেছি।
প্রতি বছর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস অনুষ্ঠানের পালনের মধ্য দিয়ে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, অস্বচ্ছল ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে লিখিতভাবে সুপারিশ ও দাবি উত্থাপন করে আসছে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান। যে সব মুক্তিযোদ্ধা এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি, দ্রুত তাদের তালিকাভুক্ত করে জীবনকালে যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত’র কর্ম ও দেশপ্রেমের নিদর্শন হিসেবে ঢাকায় একটি রাস্তার নামকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের অর্থাৎ ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ও আন্তরিকতা আবশ্যক। সংগঠনকে গতিশীল করতে প্রবীণদের পাশাপাশি এখন নবীনদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। আর তাহলেই কর্মবীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর’র আত্মা শান্তি পাবে। আপনাদের সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
ড. আহসানুল কবির
চেয়ারম্যান
মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন
ও
শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন